ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্ককে অসুস্থ আখ্যা দিয়ে বিয়ের এক বছর না যেতেই বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছেন। শরিফুল রাজের সাথে তার আর সংসার করা হবে না অনেকটা এমনই আভাস দিয়েছেন এই নায়িকা।
আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ না হলেও খুব দ্রুতই ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেবেন বলে পরিকল্পনা পরীমনির। একটি গণমাধ্যমকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ সম্পর্কেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী।
এ বিষয়ে এবার কথা বলেছেন শরীফুল রাজের বাবা মুসলিম মিয়া। তার ভাষ্য, ‘শুটিং শেষ করে রাজের বাসায় ফিরতে কিছুটা দেরি হয়, যা নিয়ে পরী রাগ করে। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়। যার ফলে পরী এমন স্ট্যাটাস দিয়ে থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘পরী এখনো কিছুটা অভিমান করে থাকলেও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রাজ-পরী ও আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আশা করি ওদের দুজনের সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।’
গত শুক্রবার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে শরিফুল রাজ থেকে নিজেকে মুক্ত করে ফেলারই ইঙ্গিত দেন নায়িকা পরীমণি।
রাত ১২টা ৪০ মিনিটে পরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন— ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’
এরপরই পরী জানান, রাজের বাসা থেকে পুত্র রাজ্যকে নিয়ে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। রাজকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে দেবেন।
এ বছরের শুরুর দিকেই সন্তানসম্ভবা হন ঢালিউডের এই চিত্রনায়িকা। এরপরই পরীমনি জানান, রাজকে তিনি গোপনে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেছেন।
চলতি বছর ২১ জানুয়ারি হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান এবং ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের আবার বিয়ে হয়। ১০ আগস্ট তাদের সংসারে আসে এক পুত্রসন্তান।
সেই সন্তানের নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। ব্যক্তিগত জীবনে স্বীকৃতভাবে এটি নায়িকা পরীমণির তৃতীয় বিয়ে।
‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ২০১৫ সালে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমনির। সেই সিনেমায় পরীমণির নায়ক ছিলেন জায়েদ খান।