মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের জন্য করা আবেদন নিষ্পত্তি না করার নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনটি আর না চালানোর কথা জানানোর পর বুধবার বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা করা এই সংগঠন ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন নবায়নে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করে। কিন্তু এই আবেদেনে সাড়া না দিয়ে ফেলে রাখে এনজিওদের লাইসেন্স নবায়ন ও নিয়ন্ত্রকারী সংগঠনটি। পরে নিবন্ধন নবায়নে এনজিও ব্যুরোর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করে অধিকার। শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৩ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ২০১৪ সালে করা ওই আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং আইন অনুসারে নিবন্ধন নবায়নের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চান।
এদিকে চলতি বছরের ৫ জুন এনজিও ব্যুরো অধিকারের আবেদন নামঞ্জুর করে। তবে অধিকার ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত ১৪ জুন হাইকোর্টের কাছে একটি সম্পূরক আবেদন করে। বুধবার এ রিটের বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে অধিকারের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া রিটটি না চালানোর কথা বলেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ৫ জুনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব বরাবরে একটি আবেদন করা হয়েছে। আর ৫ জুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৪ জুন করা সম্পূরক আবেদনটি উপস্থাপন করছি না। এরপর আদালত রিটটি খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন) করে দেন। একইসঙ্গে উপস্থাপন না করার দিক বিবেচনায় ১৪ জুনের সম্পূরক আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া জানান, এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছি। সেখানে সিদ্ধান্ত পেলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী মাইনুল হাসান বলেন, নিবন্ধন নবায়নের বিষয়ে করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে অধিকারের এখন কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। তবে তারা সরকারের কাছে এ নিবন্ধন নবায়নের জন্য আপিল করেছে। সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি।