গাজায় হামাস-ইসরায়েলি সংঘাতের দুই মাস পার হয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে আজ ১০ ডিসেম্বর। এরইমধ্যে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ হাজার। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ফিলিস্তিনের গাজার অর্ধেক মানুষ অভুক্ত থাকছেন। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই।
গাজা পরিদর্শনের পর এমনটাই বলেছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) উপপরিচালক কার্ল স্কাউ। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কার্ল স্কাউ বলছেন, গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯জন প্রতিদিন খাবার খেতে পায় না। ত্রাণ সহায়তার সামান্য অংশ এখন গাজায় প্রবেশ করতে পারছে।
ইসরায়েলের হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ধারাবাহিক হামলায় গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে পারছে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (পূর্বের টুইটার) দেওয়া পোস্টে ডব্লিউএফপির জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপপরিচালক আরও বলেন, প্রয়োজনীয় ত্রাণসহায়তার সামান্যই গাজায় ঢুকতে পারছে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই প্রতিদিন খাবার জোটে না।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেন, কোনও বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু বেদনাদায়ক, তবে আমাদের কাছে বিকল্প নেই। গাজায় যত বেশি সম্ভব ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে, হামাসকে নির্মূল করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে তারা গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাবে।
আবার ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে নির্মূল করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে তারা গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাবে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাস আকস্মিক হামলা চালানো পর গাজার সঙ্গে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এখন শুধুমাত্র রাফাহ সীমান্ত খোলা রয়েছে ত্রাণ সরবরাহের জন্য।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭শ’ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে ৭ হাজারের বেশি শিশু।