আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। দলে বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠছে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত।
তবে, বিএনপির নীতি নির্ধারকরা এসব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলটি এখন ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে, যার ফলে ২০০ এর বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫০০ এর বেশি নেতাকর্মীও বিভিন্ন অপরাধের কারণে বহিষ্কার হয়েছে। ১,০২৩ জন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ৫২৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ৪৩৭ জনকে বহিষ্কার এবং ২৪ জনের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে চাঁদাবাজি, দখল, ও বিতর্কিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। নেতাদের মধ্যে যারা গুরুতর অভিযোগে জড়িত, তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ব্যবসায়ীর গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে, দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দুটি পক্ষের সংঘর্ষের ফলে কয়েকজন নিহত হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা বেড়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা, এবং অভিযোগের মাত্রা কমানোর চেষ্টা চলছে।
নেতারা জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের অভিযোগ কমিয়ে আনতে হবে, না হলে তার প্রভাব ভোটে পড়বে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।