পদবাণিজ্যের অভিযোগে বগুড়া ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া খন্দকারকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধুনট উপজেলা জাকারিয়া খন্দকারের নামে পদ দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এরপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এতে তাকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সভাপতি সজীব সাহা আরও জানান, ধুনটের কালেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগকর্মী কান্তনগর গ্রামের নাইম ইসলাম অভিযোগ করেন, উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রায় দুই বছর আগে কালেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা হয়। সেখানে তাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া ৪৫ হাজার টাকা নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কালেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়নি।
নাইম ইসলাম আরও বলেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেওয়ার কথা বলে জাকারিয়া আমার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নেন। দরিদ্র বাবার জমি অন্যের কাছে বন্ধক রেখে তাকে টাকা দিয়েছি। কিন্ত কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জাকারিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগের নোটিশের কোনো প্রকার জবাব দিইনি। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।