তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন। আর সেই নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিতে হবে। নইলে বিএনপি বলে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা যাদের, আসেন নির্বাচন করেন। জনগণ যাকে মেনে নেবে, সে–ই ক্ষমতায় যাবে। এখানে আওয়ামী লীগ কোনো দিন হস্তক্ষেপ করবে না।
আমরা পালটা সমাবেশ করি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের। কারণ আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী, আমরা শেখ হাসিনার কর্মী।রাস্তা দখলে নেবেন আর আমরা বসে থাকব? এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। যারা শেখ হাসিনার চলার পথকে কণ্টকাকীর্ণ করবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।
কামাল হোসেন বলেন, আপনারা (বিএনপি) মনে করছেন ২০১৪ সালের মতো আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, আর আপনারা গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারবেন। তবে এখন সেই পরিস্থিতি নেই। যে হাত দিয়ে আপনারা মানুষ মারবেন, সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেব।
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদ। সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের আবদুল বাতেন মিয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মিজানুর রহমান ভুইয়া কিসমত, কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, আশুলিয়ার সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন প্রমুখ।