প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে তার দল সবসময়ই জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতির কাছে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় এবং আওয়ামী লীগ সবসময় তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি, জাতীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির কল্যাণে কাজ করি এবং মানুষ এর ফলাফল থেকে উপকৃত হচ্ছে।’
‘সর্বদা অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারের সমালোচনা করে’ এমন একটি অংশের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে তারা খুশি হয় না।
দুর্নীতির বিষয়ে তিনি সংসদে তার সাম্প্রতিক বক্তৃতার উল্লেখ করে দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য দিতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে তথ্য দিন, আমি ব্যবস্থা নেব। এটি কেবল মুখের কথা না।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা দুর্নীতি করেছে এবং তাদের শাসনামলে বাংলাদেশকে ‘দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে, তারা দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করছে।
তিনি বলেন,‘অথবা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসা করে জনগণকে তাদের ঋণের বিপরীতে উচ্চ সুদের বোঝা চাপিয়ে দিতে – তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘মাই হাউস মাই ফার্ম’-এর মাধ্যমে জনগণকে উচ্চ সুদে ক্ষুদ্রঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হবে না।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা দারিদ্র্যের হার কমিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি সারা দেশে ফ্রিল্যান্সিং সুযোগের কথা উল্লেখ করেন। যার মাধ্যমে যুবকরা তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দেশের রপ্তানিতে খাদ্য সামগ্রী এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ডিজিটাল ডিভাইস এবং ছোট যান্ত্রিক সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আমাদের একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যে বিনিয়োগ আসছে তার মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারব।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে সরকারের বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে মানুষ এখন উন্নত জীবন উপভোগ করছে।