বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ঘিরে দেশের জেলা ও উপজেলা থেকে আগত কাউন্সিল ও প্রতিনিধিদের সহায়তার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার(১৯ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটি এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির যৌথ বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটির আহ্বায়ক।
বৈঠকে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রতি অনুরোধ করে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷
আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব, তাঁর পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী যারাই আছে, তারা অন্তত এ সময়ে একটু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করুক। এটাই আমার বিশেষভাবে অনুরোধ।
দক্ষিণাঞ্চলের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী লঞ্চে আসবেন জানিয়ে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে বাসে আসবেন। তাই বাস স্টেশনগুলোতে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য ব্যবস্থা আপনি করবেন। কারণ, আমাদের বিরোধী দল চাচ্ছে, এখানে একটা অঘটন ঘটুক। এটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ে অনেক বয়স্ক লোক আছেন, কেন্দ্রীয় পর্যায়েও আছেন। তাঁদের সসম্মানে আসনে বসানোর দায়িত্ব শৃঙ্খলা কমিটির।
এ বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন, তৃণমূল থেকে আসা কাউন্সিলর ও প্রতিনিধিদের জন্য বসা, পানি ও খাদ্যের ব্যবস্থা সঠিকভাবে করার জন্য। আমাদের দলের ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নির্ভর করবে সুশৃঙ্খল সম্মেলনের মাধ্যমে যদি সমাপ্ত করতে পারি। তাহলে জনগণের কাছে ভালো গ্রহণযোগ্যতা হবে। তাই যাঁর যেখানে অবস্থান থাকবে, তিনি সেখানেই ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করবেন। অন্য জায়গায় যাবেন না।