আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বৃহস্পতিবার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের তিন দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থ পেয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন যে আইএমএফ থেকে প্রথম কিস্তি দেয়ার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার যা তিন হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর আওতায় বাংলাদেশ প্রায় ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় প্রায় ১৪০ কোটি ডলার পাবে।
রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য তৈরি তহবিল থেকে ঋণ গ্রহণকারী বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম।
বাংলাদেশ সাতটি কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পাবে এবং দুই শতাংশ সুদে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাই মাসে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল। তখন আইএমএফ আশ্বস্ত করে যে বৈশ্বিক ঋণদাতা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ে বোর্ড সভার সময় এক ফাঁকে আইএমএফ আলোচনা করে।
আলোচনা অনুযায়ী, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে আইএমএফের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা সফর করেন।
পরে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ চলতি বছরের ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।