আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ার পর সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া এখন যে অবস্থায় রয়েছেন তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায়।
জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যে আইন নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার কথা বলে আইনমন্ত্রী কিছু করার নাই বলতেছেন, তাহলে কোন আইনের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও আটবার বাড়ানো হল? যদি ঐ আইন ক্লোজ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তো তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল বলেও জানান তিনি।
আইনমন্ত্রীর দেওয়া ৪০১ নং ধারার ব্যাখ্যার সাথে ভিন্নমত পোষণ করে ড. শাহদীন মালিক আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৪০১ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, সরকার শর্ত সাপেক্ষে বা শর্তহীনভাবে কারো দন্ড মওকুফ বা স্থগিত করতে পারে। খালেদা জিয়ার দন্ড শর্ত সাপেক্ষে স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে শর্তহীন ভাবে মুক্তি দেওয়া যায়। অথবা তাকে বলে দেওয়া যায় তিনি যেখানে প্রয়োজন সেখানে চিকিৎসা করাতে পারবেন। এজন্য তাকে আবার কারাগারে গিয়ে পূর্বের আদেশ বাতিল করে পূনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নাই। সেটা যদি করতে হয় তাহলে সরকার কিভাবে তার সাঁজা স্থগিতের মেয়াদ এতবার বাড়ালো বলেও প্রশ্ন রাখেন এই আইনজীবী।
ড. শাহদীন মালিক আরও বলেন, বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্যও সরকার একটি শর্ত দিতে পারেন যে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা শেষে এক মাসের মধ্যে দেশে ফিরতে হবে।
দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে ৮ই ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আদালত। তারপর ২০২০ সালের ২৫ই মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে মুক্তির মেয়াদ কয়েকদফা বাড়িয়ে কারাগারের বাহিরে নিজ গৃহবন্দী রাখা হয়েছে তাকে।
এফটিপি/এসএইচ