কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে। এ ঘটনায় নিহত হন তিনজন।
বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নিবিড়। পরিবারিক জীবনে চরম ক্রান্তিকালে মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ। কানাডায় ছেলের পাশে থেকে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
আইসিইউতে থাকা ছেলের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘জীবন কখনো কখনো অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম। হঠাৎ আসা কোনো ঝড়ের মতো গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টো শহরে আমার একমাত্র সন্তান নিবিড় এবং তার তিন বন্ধু আরিয়ান দীপ্ত, শাহরিয়ার খান মাহির ও এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ এক সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আরিয়ান, মাহির ও শ্রেয়া আমাদের সবাইকে ছেড়ে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছে।
কুমার কুমার বিশ্বজিৎ লিখেছেন, নিবিড়ের মতোই বাকি তিনজনকে আমি আমার সন্তানই মনে করি। তারা আমার পরিবারেরই একটা অংশ। তাদের সবার সাথেই আমার সম্পর্ক ছিল বন্ধুতুল্য। আমি মেনে নিতে পারছি না তারা নেই। সন্তান হিসেবেই তাদের স্মৃতি আমার হৃদয়ে থাকবে চিরজাগ্রত। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের এই শোক সহ্য করবার শক্তি দেন।
‘আমি ঈশ্বরের কাছে আরও প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাকে ও আমার পরিবারের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে আমার নিবিড়কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন’, লিখেন কুমার বিশ্বজিৎ৷
এই সংগীতশিল্পী লিখেছেন, ‘নিবিড় এখনো আইসিইউতে শয্যাশায়ী। এই আকস্মিক ঘটনায় আমি মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত। আমি আমার সকল বন্ধু, পরিচিতজন এবং ভক্তবৃন্দের কাছে নিবিড় এর জন্য দোয়া/আশীর্বাদ কামনা করছি। আর যারা ইতোমধ্যে নিবিড়ের সুস্থতা কামনা এবং আমার পরিবারের এ দুঃসহ অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য দোয়া/আশীর্বাদ করেছেন ও করছেন তাদের কাছে আমি চিরঋণী।’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় শাহরিয়ার খান (২০), এঞ্জেলা বাড়ৈ (২০) ও আরিয়ান দীপ্ত (১৭) নিহত হন। গুরুতর আহত হন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে। গুরুতর আহতাবস্থায় নিবিড়কে ইটোবিকো হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর দুইবার তার অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তাকে ইটোবিকো হাসপাতাল থেকে সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি টরন্টো পৌঁছান কুমার বিশ্বজিৎ ও তার সহধর্মিণী।