আগামীতে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। আওয়ামী লীগকে তৃণমূল থেকে দলকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত করতে হবে।
আজ সোমবার (১২ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক সভায় শেখ হাসিনা একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাদে অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন এবং দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশবিরোধী, খুনি, মৌলবাদী চক্র, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয়, সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে।
আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোনো অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সুসংগঠিত করতে হবে।
বাংলাদেশকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, অনেকেই চায় না আমাদের দেশটি এগিয়ে যাক। এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যাদের উসকানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে, তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদের ব্যবহার করবে।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের জীবনমান উন্নত হয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে এগিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান মর্যাদা বেড়েছে অনেক’- উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আরও বলেন, আমরা মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় এসেছি। আর ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি।
টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তার সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে সেগুলো বেশি করে প্রচার করতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুখ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা।