বিশ্বের জনসংখ্যা আট বিলিয়নে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের পরিচালক জন উইলমোথ বলেছেন, ‘জনসংখ্যা আট বিলিয়নে পৌঁছানো মানুষের সাফল্যের লক্ষণ। কিন্তু এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আরো বেশি ঝুকিপূর্ণ’।
মধ্যম আয়ের দেশগুলো, প্রধানত এশিয়া, এই বৃদ্ধির বেশিরভাগের জন্য দায়ী। ভারতে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন লোক বেড়েছে এবং আগামী বছর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জাপানে জন্মহার ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। চীনও তার ‘এক শিশু নীতি’ কর্মসূচির উত্তরাধিকার নিয়ে আগাচ্ছে। এমনকি গত বছর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সন্তান নেওয়ার আহবান জানিয়েছে। কারণ এটি নন-মেডিকেল চিকিৎসা গর্ভপাতে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।
তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের কিছু দরিদ্র দেশ তাদের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এসব দেশের বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকায় অবস্থিত।
জাতিসংঘ বলছে, ‘জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যেই সম্পদের ঘাটতির সম্মুখীন হওয়া অঞ্চলগুলোর জন্য আরো বেশি অসচ্ছলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে’।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যে মুহূর্তে অন্য গ্রহে মানবতা ভাগ করার কথা ভাবা হচ্ছে সে সময় এই মাইলফলকটি বৈচিত্র্য এবং অগ্রগতি উদযাপনের একটি উপলক্ষ’।
উল্লেখ্য, ১৮০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা আট গুণ বেড়ে আনুমানিক এক বিলিয়ন থেকে আট বিলিয়ন হয়েছে। মূলত, আধুনিক ওষুধের বিকাশ এবং কৃষির শিল্পায়নের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ বাড়ার কারণেই জনসংখ্যা এত দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।