সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কোনো বল প্রযোগ বা লাঠিচার্জ করবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী। বরং আন্দোলনকারীরা যেন রাস্তা না আটকায় সে বিষয়ে তিনি ‘বিনীত অনুরোধ’ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আটকে বিভিন্ন পক্ষের অবস্থান কর্মসূচি ও এতে সৃষ্ট যানজটের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি অনেকবার অনুরোধ করেছি কেউ যেন রাস্তা না আটকায়। কিন্তু প্রতিদিনই এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা এদেশের পুলিশ হয়ে এ দেশের মানুষের উপর লাঠিচার্জ করতে পারি না। আমি আমার সকল কলিগকে বলে দিয়েছি কেউ যেন লাঠিচার্জ না করে।
রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনের ফলে জনদুর্ভোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, একটা লোক অ্যাম্বুলেন্সে অসুস্থ হয়ে আসতে পারছে না। একজন বৃদ্ধ মানুষ বা একজন নারী তিনি যেতে পারছেন না। উত্তরা থেকে রওনা করে মতিঝিল পৌঁছাতে সাত ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে- হরিবল কন্ডিশন। সো আমি রিকোয়েস্ট করতেছি সবাইকে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করতেছি। পট পরিবর্তনের পরে আমাদের পেশাগত দায়িত্ব এবং কর্মধারা পরিবর্তন করছি। আমি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি, আমার আইজিপি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন যে আমার পুলিশ আপনাদেরকে মারতে চায় না, আমরাও মরতে চাই না। আমাদের বাণী এখন একটাই। আমরা এদেশের লোক, আমরা কাউকে মারতে চাই না। আমি কোন ব্রিটিশ পুলিশ কমিশনার না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের ঘটনা হোল নাইট চলেছে। আমি সারারাত কিছুক্ষণ পরপর বলছি কোনোভাবেই কোনো লাঠি ইউজ হবে না। আমি কোনো লাঠি ইউজ করি নাই। যখন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে তখন এটা করেছি। আমি তো ছেলেদের নীলক্ষেত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিতে পারি না। দিলেই তো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হত।