ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর এক রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ হওয়া পেঁয়াজের দাম আমদানি করা হচ্ছে এমন খবরে আবার কমতে শুরু করেছে সবধরনের পেঁয়াজের দাম।
ফলে দিনাজপুরের হিলিতে প্রতিকেজিতে অন্তত ২০ টাকা করে কমেছে। গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে রাতারাতি ৮০-৯০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হয় ১৬০-১৮০ টাকা।
বর্তমানে বন্দরের মোকামে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ১৬০ টাকা, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০ টাকায় এবং দেশি শুকনা পেঁয়াজ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে হিলি স্থলবন্দরের মোকাম ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বাড়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর ফলে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে নিয়ে তামাশা করছে। কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি করে মাত্র ২০ টাকা কমিয়েছে। এটা কমা বলে না।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হতো তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি করে মুনাফা লুটে নিতে পারত না।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে এমন সংবাদে দেশের বিভিন্ন মোকামে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।
‘তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেক কমে গেছে। আজ সোমবারও ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি’, যোগ করেন এই ব্যবসায়ী।