বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা সংগ্রাম করছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) মিরপুর পল্লবী থানা বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এমন একটি সরকার আমাদের ওপর চেপে বসেছে, যে সরকার মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না। মানুষের জীবনের মূল্য দিতে জানে না। তারা যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চায়।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এই অপপ্রয়োগের ফলে একজন অসহায় নিরপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধেই শুধু মামলা নয়, এই সরকার আরো তিনজন শ্রদ্ধেয় সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। তারা হলেন- সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। এছাড়াও সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকে সংবাদপত্র স্বাধীনতা, ভোট দেয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা- কোনোটাই দেশে নেই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আবারো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে নাই কিন্তু রাজনৈতিক দলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তারা আবারো একটা নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। ২০১৪ ও ’১৮ সালের মতো রাতে ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তারা। কিন্তু সেটি এদেশে জনগণ হতে দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ১০ দফা দিয়েছি। বলেছি, এই সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনে যদি বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়, তার মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করা হবে। কারণ বর্তমান সরকার সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।’
এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।