চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেই পর্বে স্বভাবতই তামিম ইকবালের নেতৃত্ব থাকবে ধরে নেওয়া হয়েছিলো। এর আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন তামিম ইকবাল। অধিনায়ক হয়েও সিরিজের মাঝে এমন ঘোষণা দিতে গিয়ে গলা ধরে এলো তার, চোখ ভিজল কান্নায়।
হঠাৎই কেন তার এমন অবসর তা নিয়ে নানান প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন উঠতে পারে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আবার ‘হেডমাস্টারি’ করেছেন কিনা। টিম ম্যানেজমেন্টের হস্তক্ষেপ আছে কিনা। শতভাগ ফিট না হয়েও তামিম ম্যাচ খেলায় ‘পেশাদারিত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেটা তাকে আঘাত করেছে কিনা। অধিনায়ক তামিমের অবসর নিয়ে এমন অনেক প্রশ্ন উঠছে, উঠবে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্বের আগে অবসর, কী কী কারণ; এসব নিয়ে কাঁটাছেড়া হবেই। তবে সেই অবসর হোটেলে সাজানো ছিলো কী! অবসরের ‘আনকোরা’ মঞ্চে ‘কেন, কী কী হতে পারতো’ এসব প্রশ্ন না তোলার, অবসর নিয়ে ‘গুতাগুতি’ না করার এবং তার অবসরকে সম্মান জানানোর অনুরোধ করেছেন দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
তামিমের অনুরোধ, ‘আশা করি, আপনারা এই পরিস্থিতিটা সম্মান জানাবেন। এতো বছর খেলেছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না। অনুরোধ করবো, যারা সামনে ক্রিকেট খেলবে তাদের নিয়ে ভালো-খারাপ লিখবেন, তবে স্ট্রিক অন ক্রিকেট (ক্রিকেটের মধ্যে থেকে)। বাউন্ডারি ক্রস করবেন না। ভালো না খেললে সমালোচনা করবেন। কিন্তু মাঝে-মধ্যে বাউন্ডারি ক্রস হয়ে যায়। সাপোর্ট দ্য টিম, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্বের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলেই অবসর নিয়েছেন তামিম। সিরিজের এখনও দুটো ম্যাচ বাকি আছে। তার অবসর নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি না করে দলের প্রতি ফোকাস রাখার অনুরোধ করেছেন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান করা এই ওপেনার।
তার ভাষ্য, ‘আমার এটা নিয়ে বেশি গুতাগুতি করিয়েন না। কেন, কী কী হতে পারতো না পারতো এসব। সামনে দুটো ম্যাচ আছে, মেজর দুটো টুর্নামেন্ট (এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ) আছে। ফোকাস অন দ্য টিম।’