আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এক দফা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আমাদেরও এক দফা তা হচ্ছে- সংবিধান সম্মত নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের কথা একটা শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষ যে নেত্রীকে পছন্দ করেন, যার উন্নয়নকে পছন্দ করেন, যার পরিশ্রম ও সততাকে পছন্দ করেন তার অধীনে নির্বাচন হবে।
বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম কেন্দ্রীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইটে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এক স্বপ্ন মারা গেছে, এখন আরেক স্বপ্ন দেখছে। কী স্বপ্ন দেখছে? শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তাদের এক দফা, আমাদেরও এক দফা- শেখ হাসিনাকে ছাড়া নির্বাচন হবে না।
ইইউ প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ঢাকায় যেসব বিদেশি বন্ধুরা এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আপনারা চান অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমাদেরও লক্ষ্য একই। কিন্তু এ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে যারা বাধা দেবে তাদের প্রতিহত করব।
নির্বাচন হলে বিএনপি হেরে যাবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো বাধা দেব না। কাউকে আক্রমণ করতে যাব না। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় বিএনপি ভেসে যাবে। সেজন্য তারা শেখ হাসিনাকে হিংসা করে। যারা পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু টানেল চায়নি, দেশের উন্নয়ন পছন্দ করে না তারা শেখ হাসিনাকে চায় না। আমরা বলতে চাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হবে।
কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস না করার কথা জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, খেলা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। আর ছাড়বেন না। যখন ডাক দেব তখন মাঠে চলে আসবেন। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, রক্তের হলি খেলা করেছে তাদের সঙ্গে আপস নয়। যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের সঙ্গে আপস নয়। যারা ১৫ই আগস্ট, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে আপস করতে পারি না।