আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করলেন আর ঢাকায় বসে একটা চিঠি দিয়ে আমাকে মেয়রের চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি খারাপ হলে, গাজীপুরের মানুষের জন্য খারাপ হয়েছি। তাই আমার বিচার ভোটের মাধ্যমে গাজীপুরবাসীকেই করতে দিন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঢাকায় বসে একটা চিঠির মাধ্যমে যদি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে বাধ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অর্থ খরচ করে গাজীপুরের মানুষের ভোট দেওয়ার দরকার নেই। আপনারা আইনজীবী, বিচার বিভাগে যারা বিচারক, জজ বা ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন আমি আপনাদের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই- গাজীপুরের মানুষ ভোট দিয়ে মেয়র বানাল আর বাহিরের মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিল, আর ঢাকা থেকে একটা চিঠি দিয়ে মেয়রের পদটা স্থগিত বা বাতিল করে দেওয়া হলো। এখানে সংবিধান, আইনের শাসন বা সৎমানুষের শাসনটা কোথায়?
আমার ৭০ বছর বয়সি মা দেখেছেন তার সন্তানের ওপর ১৮ মাস কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই গাজীপুরের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কিভাবে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন একজন কাউন্সিলর পাঁচ বছর শাসন করেছে। সেই দিনই পরিষ্কার হয়ে গেছে কিভাবে সিটি করপোরেশনের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়। ওই কাউন্সিলর সিটির টাকা লুটপাট করে পরিবার নিয়ে আমেরিকায় সেটেল হয়েছেন। একজন জনপ্রতিনিধ যিনি এ দেশকে ভালোবাসেন তিনি কখনো এ কাজটি করতে পারেন না। আমাদের যারা বড় বড় মানুষ আছেন তারা একবারো এর প্রতিবাদ করল না।
গাজীপুরের সাবেক মেয়র বলেন, মানুষের সর্বোচ্চ জায়গা হলো আমাদের বার; এই বারে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং যারা সদস্য আছেন আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- দুই বছর ধরে আমাকে মেয়র থেকে সরিয়ে রেখেছে, আজ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নাই।
তিনি আরও বলেন, ১৮ জন কাউন্সিলরের ঋণখেলাপির দায়ে প্রার্থিতা বাতিল হলো, পরে তাদের ১৭ জন ফিরে পেলেন কিন্তু আমি কোনো ঋণ নিলাম না অথচ ঋণখেলাপি হয়েছি। আদালতেও ন্যায়বিচার পেলাম না, দুই ধরনের রায় হলো। সর্বোচ্চ আদালতের ‘ল’ ইয়াররা যদি কথা না বলেন তাহলে মানুষ ন্যায়বিচার কোথায় পাবেন।