প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, আটলান্টিক পার হলেই কি তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পাল্টে যায়? আমেরিকা গণতন্ত্র চর্চা করে তাদের আটলান্টিক পর্যন্ত। এটা যখন পার হয়ে যায়, তখন তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটাই বদলে যায়।
সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, আমেরিকা এত গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের দেশে গণতন্ত্র চর্চার অবস্থা কী? যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যে তিনজন কংগ্রেস সদস্যকে বরখাস্ত করা হয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কথা বলার অপরাধে।আমেরিকায় প্রতিদিন দেখা যায়, স্কুলে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে যাচ্ছে, ক্লাবে ঢুকে যাচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়ত সেখানে শিশুসহ অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই তিন কংগ্রেস সদস্যের অপরাধ ছিল তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে। খুনি রাশেদ আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছে। যতগুলো প্রেসিডেন্ট এসেছে, সবার কাছে আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তাদের বলেছি— এরা শিশু হত্যাকারী, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, কিন্তু তারা তো ফেরত দিচ্ছে না।
‘গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে তারা এদেশে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে, যাদের আনলে গণতন্ত্রের অস্তিত্বই থাকবে না। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কিছু বুদ্ধিজীবী’, যোগ করেন শেখ হাসিনা৷