ইন্টারপোলকে বলা হয় সারাবিশ্বের পুলিশদের একটি বিশেষ নেটওয়ার্ক। তবে শুধু পুলিশই না, বিভিন্ন অপরাধ বিশ্লেষক সংস্থাও এর সাথে যুক্ত। ইন্টারপোলের ডাটাবেজে এসব পুলিশ এবং বিশ্লেষকদের প্রবেশ করার অধিকার রয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের শনাক্ত করা এবং নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় ইন্টারপোল। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অপরাধ তদন্তেও কাজ করে থাকে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা।
অপরাধের ধরণ বিবেচনায় ১৭ টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইন্টারপোল তার সদস্য দেশগুলোকে সাহায্য করে থাকে। আর এজন্য লাল, নীল, সবুজ, কালোসহ সাতটি ভিন্ন ধরণের নোটিশ জারি করে থাকে সংস্থাটি।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশকে সরাসরি গ্রেফতারি পরোয়ানা বলা যায় না। আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোল চাইলেই কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না। এমনকি গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতাও তাদের নেই।
এছাড়াও অপরাধ তদন্ত, ফরেনসিক ডেটা বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করতেও সাহায্য করে ইন্টারপোল। অবশ্য এজন্য সন্দেহভাজন অপরাধীর যাবতীয় তথ্য জমা করতে হয়।
এরপর তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। রেড নোটিশ জারি করার পরেই কেবল অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব নেয় ইন্টারপোল।
রেড নোটিশ জারির পর অভিযোগের ভিত্তিতে যাবতীয় প্রমাণ এবং মামলার কপি ইন্টারপোলের কাছে হস্তান্তর করতে হয়। এরপর নিজস্ব যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চালায় সংস্থাটি। প্রাথমিক সেই প্রক্রিয়ার পরেই রেড নোটিশ দেয়া হয়।
সাধারণত দুর্নীতি, যুদ্ধাপরাধ, মানবপাচার, অস্ত্র চোরাচালান, সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিংসহ মোট ১৭ টি অপরাধের ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোকে সাহায্য করে থাকে ইন্টারপোল।
অপরাধী এবং অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় লাল, কমলা, বেগুনী, নীল, হলুদ, সবুজ, কালো এই ৭ ধরণের নোটিশ দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। আর এর প্রতিটির জন্য থাকে আলাদা আলাদা বার্তা।
এদের মাঝে রেড নোটিশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। রেড নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।