পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। দেশটির নির্বাচন কমিশন এমনটা জানায়।
শুক্রবার(২১ অক্টোবর) এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তোসখানা (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে নেওয়া উপহারের বিষয়ে ‘তথ্য গোপন’ এবং ‘ভুল ও মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলেই ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
২০২০-২১ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া নিজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাবে তোসখানার বিষয়টি গোপন করেছেন ইমরান খান। তোসখানা হলো পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কূটনীতিক বিদেশী বন্ধুদের কাছ থেকে যখন কোনো উপহার পান তখন সেটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ পরিষোধ করে সেগুলো কিনে নিতে পারবেন উক্ত ব্যাক্তি।
ইমরান খান ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তার শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে উপহার পেলেও এ বিষয়টি নিয়ে তিনি গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন বলেই অভিযোগ। এমনকি নির্বাচন কমিশন জানতে চাওয়ার পরও।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ(পিটিআই) দাবি করেছিল, বিদেশী উপহারের বিষয়টি সামনে আনলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব পরতে পারে।
পাকিস্তানের বর্তমান জোট সরকার ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোসখানার তথ্য গোপনের বিষয়টি সামনে এনেই মূলত ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করে। তথ্য গোপন রাখায় ও তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় পাকিস্তানের সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ ধারায়
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়।
এ বিষয়টি পরবর্তী জাতীয় পরিষদের স্পিকার নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠায়।
নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান খান স্বীকার করেন তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় পাওয়া উপহারগুলোর মধ্যে অন্তত চারটি বিক্রি করে দিয়েছেন।
বিক্রিত উপহারগুলো ইমরান খান ২১.৫৬ মিলিয়ন রুপি দিয়ে কিনে নেন বলেই দাবি করেন। যার মধ্যে ছিল গ্রাফ রিস্টঘড়ি,এক জোড়া বোতাম, একটি দামি রিং, চারটি রোলেক্স ঘড়ি।