ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড রোববার জার্মানী এসে পৌঁছেছেন। ইরানের সঙ্গে করা পশ্চিমা শক্তিসমূহের ভেঙ্গে যাওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে তাদের সরিয়ে নেয়ার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি এ সফর শুরু করেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পশ্চিমা কয়েকটি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করেন। কিন্তু, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে এ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান এবং তেহরানের ওপর অবরোধ ফিরিয়ে আনেন।
তবে, বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইরানের সঙ্গে পুরানো চুক্তি নতুন করে ফিরিয়ে আনার উদোগ নিয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। নতুন এ উদ্যোগের মধ্যদিয়ে ইরানের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়া হবে।
এ প্রেক্ষিতে ল্যাপিড তার মন্ত্রিসভায় বলেছেন, পরমাণু চুক্তি করা বন্ধ এবং অবরাধ তুলে নেয়া প্রতিহত করতে ইসরাইল সফল কূটনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ প্রচারণা শেষ হয়নি। এখনও বহুদূর বাকি। তবে, উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
ইসরাইলের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলছেন, আমাদের অবস্থান হল, অন্তত মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত পরমাণু চুক্তিতে ফেরা ঠেকানো। নতুন কৌশল প্রণয়নে আমরা আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করছি।
জার্মানীতে ল্যাপিড চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আন্নালিনা বারবুক এবং প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ওয়াল্টার স্টেইনময়ারের সাথে বৈঠক করবেন।
ইরানের সাথে ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তিটি জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্লান অব অ্যাকশান (জেসিপিওএ) হিসেবে পরিচিত। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ওপর আরো কঠোরতা আরোপের বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষোধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্ত ছিল।
সেই প্রেক্ষাপটে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ভিয়েনায় চুক্তিটি নতুন করে শুরু করার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।
ইসরাইল জোর দিয়ে বলছে, ইরানের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়া হলে দেশটি আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে সে অর্থ তেলআবিবের ওপর হামলা চালাতে মিত্রদেশগুলোতে খরচ করবে। বিশেষ করে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইসলামিক জিহাদের কথা এ প্রসঙ্গে তুলে ধরা হয়।