ফিলিস্তিন-ইসরাইলের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরায়েলের পক্ষেই কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিকে যুদ্ধে সহযোগিতায় সামরিক জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে, হামাসের সর্বশেষ হামলা সৌদি আরব ও ইসরাইলের সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরাতে পারে। এক দশকের মধ্যে শনিবার ইসরাইলের ভূখণ্ডে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
রবিবার হামলার জবাবে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন সিএনএনকে জানিয়েছেন, কতজন আমেরিকানকে হত্যা ও অপহরণ করা হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করছে ওয়াশিংটন। এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে, তাতে বলা হয়েছে— কয়েকজন আমেরিকান হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তবে আমরা এ তথ্য যাচাই করছি।
ইসরাইলকে সহযোগিতা করার জন্য যুদ্ধাস্ত্র প্রদান করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ছাড়া রোববার থেকে নিরাপত্তা সহযোগিতা দেওয়া হবে। পেন্টাগন ওই অঞ্চলে যুদ্ধ বিমান পাঠাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এ সময় বাইডেন ইসরাইলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা জানান।
এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট ইসহাক হারজগের সঙ্গে কথা বলেছেন।