ইসরায়েলের জেরুজালেম অঞ্চলের স্কুলগুলোতে ফিলিস্তিনি পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সাধারন ধর্মঘট পালন করছে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি স্কুলগুলো।
আজ (সোমবার) সকালে অভিভাবকদের নেতৃত্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শত শত স্কুল। এর আগে বিক্ষোভের পাশাপাশি ইসরায়েলের পাঠ্যপুস্তকগুলো চালু করার অস্বীকৃতি জানান অভিভাবকেরা।
রবিবার এই যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিভাবক কমিটি এবং জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি জাতীয় ও ইসলামিক বাহিনী পূর্ণ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এছাড়াও ফিলিস্তিনি শিক্ষার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় তারা।
অভিভাবক কমিটি ইউনিয়নের প্রধান, ৫৬ বছর বয়সী জিয়াদ আল-শামালি বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রচেষ্টা সফল হলে জেরুজালেমে আমাদের ৯০% শতাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে’।
তিনি আরো বলেন, ‘বছরের শুরু থেকেই ইসরায়েল বেসরকারী ফিলিস্তিনি স্কুলগুলোতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত পাঠ্যক্রমের একটি বিকৃত সংস্করণ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত ১০/১২ বছর ধরেই ফিলিস্তিনি শিক্ষার একটা ইসরায়েলীকরণ চলছে। তবে গত ৩ বছরে এটি আরো তীব্র হয়েছে’।
জুলাই মাসে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জেরুজালেমের ৬টি ফিলিস্তিনি স্কুলের স্থায়ী লাইসেন্স প্রত্যাহার করেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব স্কুলের পাঠ্যপুস্তকগুলো ইসরায়েলি রাষ্ট্র এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়। পাঠ্যক্রমে সংশোধন করার পর এক বছরের জন্য স্কুলগুলো পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেমের অর্ধেক অঞ্চল ইসরায়েল সামরিকভাবে দখল করে। বর্তমানে প্রায় ৩৫০,০০০ ফিলিস্তিনি অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে বসবাস করছে। যার মধ্য ২২০,০০০ ইসরায়েলি অবৈধ বসতিতে বাস করছে।
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ৮৬% ইসরায়েলি সরকার এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।