তুরস্কের ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রস্থলে একটি বোমা হামলায় ছয়জন নিহত এবং কমপক্ষে ৮১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। রবিবার মধ্য ইস্তাম্বুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিকট বিস্ফোরণ শোনা যায় এবং একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়; তখন পথচারীরা ঘুরে দাঁড়ায় এবং পালিয়ে যায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই বিস্ফোরণকে ‘বিশ্বাসঘাতকদের হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন এই হামলাকারীদের শাস্তি দেয়া হবে।
বিস্তারিত কিছু না বললেও এই হামলা সম্পর্কে এরদোয়ান বলেছেন এতে ‘সন্ত্রাসের গন্ধ’ ছিল।
তিনি আরও বলেছেন, ওই এলাকার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তদন্ত চলছে।
এরদোগান ছয়জন নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে পরে আহতদের সংখ্যা ৮১ জন বলে জানিয়েছেন। যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
প্রতিবেশি গ্রিস সহ অনেক দেশ তুরস্কের ওপর এই হামলার ঘটনায় তাদের শোক প্রকাশ করেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস বলেছেন যে তিনি ‘জঘন্য হামলার খবরে হতবাক ও দুঃখিত।’
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তুরস্ক একের পর এক বোমা হামলার শিকার হয়েছিল, যাতে ৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়। ইসলামিক স্টেট (আইএস) কিছু হামলা করেছিল, বাকি হামলাগুলো কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী করেছিল।
তুরস্ক বছরের পর বছর ধরে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের পিকেকে নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এটি তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পিকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত।
ধারাবাহিক কয়েকটি হামলার পরে তুরস্ক সিরিয়া ও উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সামরিক অভিযান শুরু করে। পাশাপাশি কুর্দি রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে বিস্তৃত সন্ত্রাসী আইনের মাধ্যমে দমন-পীড়ন চালায়। সমালোচকরা যেটিকে ভিন্নমত দমন করার একটি উপায় বলে সমালোচনা করে।
তুরস্কের মিডিয়া ওয়াচডগ রবিবারের হামলার সম্পর্কে রিপোর্ট করার ওপর অস্থায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে বিস্ফোরণ এবং এর পরবর্তী ঘটনার ক্লোজ-আপ ভিডিও ও ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রেডিও ও টেলিভিশনের সুপ্রিম কাউন্সিল।