দেশবাসী সবসময় তার দলের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। সামনে আগামী নির্বাচন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, জনগণ তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে সবসময় আমাদের পাশে আছে। তিনি বলেন, ‘বুলেট ও বোমার মুখোমুখি হয়ে তারা আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি কাজ দিয়েছেন এবং কাজটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে রক্ষা করবেন। আমাকে রক্ষা করতে উপরে আল্লাহ্ আছেন আর মাঠে আমার দলের নেতা-কর্মীরা আছেন। যখনই আমার ওপর কোনো হামলা হয়, আমার দলের লোকেরা সবসময় আমাকে রক্ষা করে।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দলের লোকেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে মানব-ঢাল বানিয়ে তার প্রাণ রক্ষা করেছেন। আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি-এটাই বড় কথা।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে এক মহাসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার পর টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় তিনি ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করেন। টুঙ্গিপাড়ায় রাত কাটিয়ে আজ বিকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীকে উন্নত ও সুন্দর জীবন দেয়ার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষে তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমি জনগণের কল্যাণে সম্ভাব্য সব কিছু করছি।’
তিনি তার টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের জনগণকে বারবার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমার আপনজনদের হারানোর পরে দেশের মানুষ এবং আমার দলের নেতা-কর্মীরাই আমার স্বজন। কাছের মানুষগুলো আমার পাশে না থাকলে সফল হওয়া সম্ভব হতো না।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়াতে বলেন।
‘খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনুন। আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করতে হবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।