তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা এবং বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না, বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় না। বাংলাদেশে সেটি কখনো হবে না।’
আজ বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় তথ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক-এগারোর পর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে জিল্লুর রহমান অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন বলেই অনেক চাপ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সর্বোপরি দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। সংকটকালে ধৈর্যশীল ও অবিচল থেকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার শিক্ষা জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি। দেশের ইতিহাসে, দেশের রাজনীতির ইতিহাসে একজন ভালো মানুষ এবং অজাতশত্রু রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও অপরাজনীতির কারণে মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সেটি তারা অনুধাবন করতে পেরেছে। এসব কারণে এক-এগারোর কুশীলবেরা, বিএনপি আর বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সবাই একজোট হয়ে দেশে একটি গন্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে, কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো হতে দেবে না। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। সব সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তাঁর সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।’
জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এই সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং প্রয়াত জিল্লুর রহমানের কন্যা তানিয়া রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তাঁর বক্তৃতায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণা করেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। তানিয়া রহমান তাঁর প্রয়াত বাবার আত্মার শান্তির জন্য সবাইকে প্রার্থনা করতে অনুরোধ জানান।
জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান খোকার সভাপতিত্বে এবং রোকন উদ্দীন পাঠানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তৃতা রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, এ বি এম বায়েজিদ, মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ।