এবারের ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোনো অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইদুল আজহায় কোরবানির জন্য সারাদেশে এক দশমিক ২১ কোটির বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।’
এছাড়া ঈদ উদযাপনে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের পাশাপাশি অসুস্থ পশু হাটে বিক্রি করতে দেয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ হয়রানি বা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, পশু হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল নিতে পারবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। নগদ টাকা বহন না করে বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে খামারিরা যাতে আর্থিক লেনদেন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বছর অনলাইনে পশু বিক্রির বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই বছরও এই পদ্ধতি অব্যাহত থাকবে। অনলাইনে ক্রয় করা গরু পছন্দ না হলে টাকা ফেরত নেয়ার ব্যবস্থাও সংযোজন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি সার্জন থাকবে। গবাদিপশু কোরবানির উপযোগী কি না বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কি না তারা সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি হটলাইন ১৬৩৫৮ চালু থাকবে। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে কোনো রকম সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য সবধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে গবাদিপশু কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে গবাদিপশুর খাবার সরবরাহ এবং চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার বিষয়েও চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। কোরবানির সময় যাতে ওই অঞ্চলে দেশের অন্য অঞ্চল থেকে পশু যেতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।