নাটোরের আলোচিত কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এদিকে খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় আটক তার স্বামী মামুন হোসেনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নাটোর সদর হাসপাতালের তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ওই কলেজশিক্ষিকার ময়নাতদন্ত করেন।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ রায় বলেন, ‘ময়নাতদন্তে কলেজশিক্ষকার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শ্বাসরোধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট আসলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
এদিকে সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে তার স্বামী মামুন হোসেনকে আদালতে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি আদালতের হাজতখানায় আছেন বলে জানিয়েছেন নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও আমাদের হাতে আসেনি। তাই ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তার স্বামী মামুন হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে কলেজশিক্ষিকা আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেন মামুন। পরে রবিবার(১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
খায়রুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। মাত্র আট মাস আগে কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করেছিলেন খায়রুন নাহার।