কানাডার নোভা স্কোটিয়া প্রদেশে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানলে ইতোমধ্যেই সেখানে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ১৬ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নোভা স্কোটিয়ার বৃহত্তম শহর হ্যালিফেক্সের কাছে প্রায় ১৬ হাজার ৪শ মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৮ মে) দাবানলের কারণে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয় হ্যালিফেক্সের স্থানীয় প্রশাসন।
তবে রোববার রাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে সেখানে দাবানলের তীব্রতা আর তেমন বৃদ্ধি পায়নি। নগরীর উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত বরাবর আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক নোটিশে শহরতলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়।
হ্যালিফ্যাক্সের মেয়র মাইক স্যাভেজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা গতকাল থেকে নতুন কোন এলাকার লোকজনকে আর সরিয়ে নেইনি। এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি যে সম্ভবত সেখানের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি।’
২৫০০০ হাজার একরের বেশি এলাকা জুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আগুনে কমপক্ষে ২৫০টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরো প্রদেশ জুড়ে দুই শতাধিক দমকল কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
তবে আশার কথা এই দাবানলের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই দাবানলের ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা গেছে বিশাল এলাকা জুড়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
সোমবার (২৯ মে) এক টুইট বার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই পরিস্থিতিকে অবিশ্বাস্য ও গুরুতর বলে উল্লেখ করেন। ফেডারেল সরকার সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।