17 C
Dhaka
Thursday, December 19, 2024

কোরআন: দুনিয়া-আখেরাতে আমাদের মুক্তির শ্রেষ্ঠ পাথেয়

- Advertisement -

সাজ্জাদ শরিফ

কোরআন তেলাওয়াত। নফল ইবাদতের মাঝে সহজ ও সেরা ইবাদত। যা করতে টাকা-পয়সা খরচ কিংবা কঠোর কোনো পরিশ্রম করতে হয় না। শুধুমাত্র সামান্য কিছুসময় ব্যয় করতে হয়। অথচ সহজ কিন্তু অত্যন্ত।
ফজিলতপূর্ণ এই ইবাদতটির প্রতিও আমরা চরম উদাসীন। সারা দিনে আমাদের একবারো সময় হয় না একটু কোরআন তেলাওয়াত করার। আর সারাবছর পবিত্র কোরআন থাকে আমাদের কাছে অবহেলিত। সারাবছর পড়ে থাকে ধূলোবালির মোটা আস্তর পড়া ধূলিধুসরিত তাক বা আলমারির ওপর।

কোরআন তো আমাদের ইবাদতের অন্যতম এক বড় মাধ্যম হওয়ার দরকার ছিলো! যা হলো সারাজীবনে চলাফেরা জীবন-যাপনের সবচেয়ে বড় পাথেয়, আমাদের সংবিধান। আজ আমরা কোরআনকে ছুড়ে ফেলেছি বলেই আমাদের এই অবনতি। এই করুণ দশা। পবিত্র কোরআনের ফজিলত ও মাহাত্ম্য বর্ণনায় প্রিয় নবিজি কোরআন শিক্ষাকারীকে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলেছেন। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে সে-ই সেরা ব্যক্তি, যে কোরআন শেখে এবং অন্যকে কোরআন শেখায়।” [সহি বোখারি]

মুসলিম শরিফের একহাদিসে আছে, মহানবি সা. বলেছেন, তোমরা সবসময় কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকো, কারণ যারা সবসময় কোরআন তেলাওয়াত করে, কোরআন তাদের জন্যে সুপারিশ করবে, অর্থাৎ, কোরআন তার জন্যে আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবে।

এবার আপনিই বলুন তো! জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার চেয়ে বড়ো আনন্দ, বড় সফলতা আর কী হতে পারে আমাদের মতো গোনাহগার হতভাগা এই দুর্বল উম্মতের জন্যে? আমাদের জন্যে সুসংবাদ আরো আছে। প্রথমত, কোরআন তেলাওয়াত করলে আমরা কেমন সওয়াব পাই তাও কিন্তু প্রিয় নবি জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রদিয়াল্লাহু আনহুমা] থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল সা. বলেছেন, যে কোরআনের একটি হরফ পড়ে, সে একটি সওয়াব পাবে, আর একটি সওয়াব দশটি সোয়াবের সমান। আর আমি একথা বলি না যে, আলিফ লাম মিম একটি হরফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মিম একটি হরফ।” [জামেতিরমিজি]

হাদিসের বর্ণনামতে আলিফ-লাম-মিম তিনটি হরফ বা অক্ষর। আর তিনটি অক্ষর পড়লে ত্রিশটি সওয়াব। এভাবে যে যতো বেশি কোরআন পড়বে, সে ততো বেশি সওয়াবপাবে। প্রতিটি হরফের বিনিময়ে দশটি করে সওয়াব।

আরেক হাদিসে মহানবি সা. বলেছেন, কোরআনশরিফ না দেখে পড়লে একহাজার সওয়াবআর দেখে পড়লে দু’হাজার সওয়াব। [সুনানে বায়হাকি]

অন্য এক হাদিসে মহানবি সা. বলেছেন, যে কোরআন পড়ে এবং মানে, অর্থাৎ, কোরআন মতো আমল করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা তার বাবা-মাকে এমন একটি নুরের মুকুট পরিয়ে দেবেন, যার আলো সূর্যের আলোর চাইতেও বেশি উজ্জ্বল। তোমাদের দুনিয়ার যেমন সূর্য আলোকিত করে, সে মুকুটের আলো সূর্যের সে আলোর চাইতেও আরো বেশি উজ্জ্বল হবে। সুতরাং তোমরা অনুমান করে নাও স্বয়ং আমলকারীর মর্যাদা ও সম্মান কতো বেশি হবে ।

আরেক হাদিসে প্রিয়নবি সা. বলেছেন, যে কোরআন পড়ে এবং হালাল-হরাম মেনে চলে, অর্থাৎ, কোরআন নির্দেশিত পথে চলে। হালালটা গ্রহণ করে আর হারাম মানে, কোরআন যা বর্জন করতে বলেছে, তা এড়িয়ে চলে। তাহলে সে এমন দশজন আত্মীয়-স্বজনকে জান্নাতে নিয়ে যাবে, যাদের জন্যে জাহান্নাম নির্ধারিত হয়েছিলো। [জামে তিরমিজি]

এই তো হলো কোরআন পড়া ও শেখার মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব। কোরআন পড়া, কোরআন শেখা আর কোরআনের উপর আমল করার ব্যাপারে রাসুল সা. হাদিসে বার বার উৎসাহিত করেছেন। বার বার তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, কোরআনের ফজিলতের কথা, কোরআন পড়লে, কোরআন শিখে সে অনুযায়ী আমল করলে দুনিয়ার এই জীবনের সফলতার পাশাপাশি মৃত্যুর পর আখেরাতের সফলতা লাভের সুসংবাদও দান করেছেন। সুতরাং দুনিয়ার এ জীবনে মুক্তি, সফলতা ও সমৃদ্ধি লাভের জন্যেই আমাদেরকে কোরআন পড়তে হবে। কোরআন শিখতে হবে এবং কোরআন মেনে আমাদের জীবন পরিচালনা করতে হবে। তবেই আমরা পাবো দুনিয়ার সফলতা ও সমৃদ্ধি এবং পরকালীন অনন্তÍ জীবনের মুক্তি ও সফলতা।

আচ্ছা, আমরা কি পারবো আগুনের ঘরে বাস করতে? কিংবা নিজে বসবাসের জন্যে নির্মাণ করবো আগুনের ঘর? না পারবো না। তাই আমরা এটাও চাইবো না, মৃত্যুর পর আমাদের অনন্তÍ জীবনের জন্যে নির্মাণ করা হোক আগুনের তৈরি ঘর। তাই আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। যেনো আমাদের চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমাদের ধন-সম্পদ গড়ে তোলার পশাপাশি পরকালের জন্যেও কিছু সম্পদ জমা করতে পারি। সেভাবেই জীবন পরিচালনা করি নবিজি আমাদেরকে যেভাবে বলেছেন। এক হাদিসে তিনি বলেছেন, “জেনে রেখো! ইসলাম চলমান। তাই তোমরাও সে দিকে যাও, আল-কোরআন তোমাদের যেদিকে যেতে বলে।”

হাদিসের মর্মার্থ তো হলো, কোরআন যেভাবে চলতে বলে সেভাবেই চলতে হবে। যেদিকে যেতে বলবে, আমরা সেদিকেই যাবো। আর কোরআন আমাদের যেপথে বাধা দেবে, আমরা তা থেকে বিরত থাকবো। মহানবি সা. আরো বলেন, “মনে রেখো! এমন একসময় হবে, যখন আল্লাহর কিতাব আর দুনিয়ার রাজত্ব আলাদা হয়ে যাবে; কিন্তু তোমরা কখনো কিতাব থেকে আলাদা হয়ো না।”

এ হাদিসের মাধ্যমে মহানবি সা. আমাদেরকে সতর্ক করেছেন। আমরা যেনো কোরআনের পথ না ছাড়ি। স্পষ্টভাবেই আমাদের জানিয়েছেন, এমন সময় আসবে, যখন দুনিয়া ও কোরআন দু’টিই আলাদা হয়ে পড়বে। যে কালের পথ হবে একটি এবং কোরআনের পথ হবে আরেকটি। তখন মানুষ পার্থিব জীবনের এই দুনিয়া ধরলে কোরআন হাতছাড়া হয়ে যাবে। আর কোরআন ধরলে কিংবা কোরআনের অনুসরণ করলে দুনিয়া হারাতে হবে। তারপরও প্রিয়নবি সা. স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, তোমরা কোরআনকে ছেড়ো না, দুনিয়া ছেড়ে দাও। ধন-দৌলত, রাজত্ব, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু বিসর্জন দেবে। তবু কোরআন ছাড়বে না। আমাদের নবি আমাদেরকে সতর্ক করার জন্যে আরো বলেছেন, “মনে রেখো! তোমাদের মাঝে শিগগিরই এমন শাসক আসবে, যারা নিজেদের স্বার্থে তোমাদের শাসন করবে কিন্তু তেমাাদের কল্যাণে তোমাদের শাসন করবে না। যদি তোমরা তাদের অনুসরণ করো, তাহলে তোমাদের পথভ্রষ্ট করবে। আর যদি তোমরা তাদের বিরোধিতা করো, তাহলে তারা তোমাদের হত্যা করবে, তেমাদেরকে ধ্বংস করবে।” তখন সাহাবায়ে কেরাম বললেন, “আল্লাহর রাসুল! আমরা তখন কী করবো?”
জবাবে তিনি বললেন,“তখন তোমরা হজরত ইসা আ.-এর সাথীদের মতো ধৈর্য ধরবে।”

আজ সারাবিশ্বের প্রতিটি দেশেই এ দৃশ্যের বাস্তব চিত্র দেখা যায়। সবখানেই এই করুণ পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি আমরা। আজ যারাই ক্ষমতার গদিতে বসেছে, তারা সবাই ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। আমাদের কোরআনের অনুসৃত পথ থেকে সরানোর জন্যে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করেছে বার বার। আর আমরাও তাদের ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদে পা আটকা পড়েছি। ফলে কোরআনের অনুসৃত পথ ছেড়ে ধরেছি চক চক করা মরীচিকার ওই পথ। অথচ এই চাকচিক্যপূর্ণ আলেয়ার পেছনে ছুটতে ছুটতেই আমরা ক্লান্তÍ। এমন ক্রান্তিকালের কথা বলেই রাসুল সা. আমাদের সতর্ক করেছিলেন হাজার বছর পূর্বেই। কিন্তু আমরা তাঁর ওই নিষেধ বেমালুম ভুলে বসে আছি। হাদিসে আমাদেরকে হজরত ইসা [আলায়হিসসালাম]-এর সঙ্গী-সাথীদের মতো ধৈর্য ধরতে এজন্যেই বলা হয়েছে, তাদের উপর এমন অত্যাচারের খড়গ চালানো হয়েছিল। তাদের শূলে চড়ানো হয়েছে। করাত দিয়ে তাদের কাটা হতো। হাদিসের ভাষ্যমতে, লোহার চিরুনি দিয়ে আঁচড়িয়ে মাংস-হাড় আলাদা করে ফেলা হতো, তবুও তারা ইসলামকে ছাড়েনি, আল্লাহর কিতাবের অনুসরণ ত্যাগ করেনি। তাই আমাদেরকে নবিজি বলেছেন, তাদের মতো ধৈর্য ধরার কথা।

আরেক হাদিসে প্রিয়নবি সা. স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতোক্ষণ তোমরা এ দুটি ধরে রাখো, ততোক্ষণ তোমরা কিছুতেই পথভ্রষ্ট হবে না। এক. আল্লাহর কিতাব আল-কোরআন। দুই. রাসুলের সুন্নতÑরাসুলের জীবনাদর্শ।”

এই বাণী থেকে একথা খুবই পরিষ্কার ও স্পষ্ট হয়ে গেলো, মানবজীবনের এ বিশাল জীবনসমুদ্রে একমাত্র অবলম্বন হলো পবিত্রকোরআন এবং প্রিয়তম নবি সা.-এর পবিত্র জীবনাদর্শ। তাই মানবজীবনের পরিপূর্ণ সফলতা, স্বার্থকতা, পূর্ণাঙ্গ বিজয় এবং চূড়ান্তÍ মুক্তি আবর্তিত হয় পবিত্র কোরআনের বাস্তব অনুসরণ এবং প্রিয়নবি সা.-এর পবিত্র জীবনাদর্শের অনুসরণ-অনুকরণ আর দ্ধ্যর্থহীন আনুগত্যকে কেন্দ্র করেই।

তাই আজ যদি আমরা মহান এ গ্রন্থের তেলাওয়াত আর শোনার দায়িত্বটা পার করার পাশাপাশি এর মর্মবাণী ও দাবির গভীরে ঢুকতে পারি; তাহলে দেখবো, শুধু আত্মার প্রশান্তিÍ নয়, হৃদয়ের জং দূর করা নয়, নয় শুধু পাপের তাপে তাপিত অন্তÍরের কালিমা দূর করা। আমাদের এই পার্থিব জীবনের সুখ-শান্তিÍ, পরিপূর্ণ সফলতা, পুর্ণাঙ্গ সার্থকতা, প্রকৃত বিজয় এবং চূড়ান্তÍ মুক্তির এক অমোঘ বিধান ও নির্দেশনা রয়েছে এই কিতাবে। যে নির্দেশনার পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ ও অনুকরণ আমাদেরকে পৌঁছে দিয়েছিলো সফলতার শীর্ষচূড়ায়। আমাদের তুলে ধরেছিলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে। পৃথিবীর সব জাতি-গোষ্ঠীকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলাম আমরা সম্মান, প্রতিষ্ঠা, শক্তি ও মর্যাদায়। আমরা এতোটাই ওপরে উঠেছিলাম যে, আমাদের পা ছোঁয়ার হিম্মত হতো না কারো। আর আজ আমরা সেই বাণী ও নির্দেশনাকে উপেক্ষা করছি বলেই অন্যের পা ছুঁয়ে ধন্য হতে চাই! আহ! কী এক চরম দুর্ভাগ্যের কথা!!

আজ এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদেরকে পবিত্র কোরআনের আলোকিত পথ অনুসরণ করে চলতে হবে। কোরআনের আদলে সমাজ নির্মাণ করতে হলে এর যথার্থ অনুসরণ অনুকরণের বিকল্প নেই। আমরা যদি আমাদের জীবনে কোরআন তেলাওয়াত, কোরআনের মর্মবাণী ও নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারি আমাদের প্রতিটি কাজে, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি পদক্ষেপে, তাহলে দেখবো অন্তÍত এ কাজটির বিনিময়ে আমাদের সমাজ, আমাদের দেশ এবং আমাদের আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠবে আত্মসচেতন, আল্লাহ নির্ভরশীল, পরকালমুখী প্রিয়নবি সা.-এর যোগ্য ও আদর্শ উম্মত হিসেবে। আমরা নির্যাতিত-নীপিড়ীত উম্মাহকে শুনাতে পারবো মানব ও মানবতার মুক্তির পয়গাম। দেখাতে পারবো সুখ-শান্তিÍ, বিজয় ও সমৃদ্ধি এবং চূড়ান্তÍ মুক্তির আলোকিত পথের দিশা। যা আমাদেরকে আবারো পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে তুলে ধরবে। আমরা সবাইকে শোনাতে পারবো মোহাম্মদি পয়গাম। যে পয়গাম আমাদের দিয়েছিলো আলোকিত পথের দিশা। যে পয়গাম মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছিলো পৃথিবীর সব নির্যাতিত, নিপীড়িত ও পতিত মানব কাফেলাকে আর ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছিলো দুনিয়ার অহঙ্কারী, দাম্ভিক ও জালেমের সব দাম্ভিকতা ও জুলুমের নগ্ন হাত।

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
শেষ পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান দ'খলে রাখতে পারলো না সাদপন্থীরা
03:23
Video thumbnail
যশোরের এক মাদরাসার ভিডিও ভা’ই’রাল, ফেস দ্যা পিপলের অনুসন্ধানে যা জানা গেল
04:00
Video thumbnail
তাবলীগ জামাতের পেছনে কোন শক্তি? আগে বিচার নাকি নির্বাচন? যা করা উচিত।
01:12:20
Video thumbnail
গুমের শিকার ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার অভিযোগ: ‘প্রধান অভিযুক্ত খু*নি হাসিনা’!
02:25
Video thumbnail
এবার ভারতীয় মিডিয়া রিপাবলিক টিভির ময়ূখকে এক হাত নিলেন ভারতীয় সাংবাদিক দীপক ব্যাপারী
13:50
Video thumbnail
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের উ*গ্র* তা ও ভয়া *বহ হা ম *লা পরিকল্পিত! নেপথ্যে বেরিয়ে আসছে যাদের নাম !
05:15
Video thumbnail
সাদপন্থীদের উ *গ্র *তা ও ভয়া৮*বহ হা *ম *লা পরিকল্পিত
08:00
Video thumbnail
শিক্ষার্থীদের বি ব স্ত্র করে ভিডিও ভাইরাল করার হু*ম*কি দিতো রিভা!
03:59
Video thumbnail
সা’দপন্থীদের হাতে আ'ট'ক আ'ক্র'ম'ণকারীদের ৩০/৪০ জন! আ'ক্র'ম'ণকারীরা আসলে কোন পন্থী?
14:21
Video thumbnail
ইজতেমা ময়দানের সং'ঘ'র্ষে হাসনাত-সারজিসের সম্পৃক্ততা নিয়ে দুই পক্ষ ফেস দ্যা পিপলে যা জানিয়েছে
10:42

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe