মেহেদী হাসান, জাবি প্রতিনিধি: জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধনে ‘ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের ছত্রছায়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়’ বলে মন্তব্য করেছেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহম্মদ কামরুল আহসান।
তিনি বলেন, র্যাব বলছে জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, ইউজিসি থেকে বলা হয়েছে জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে জাবি উপাচার্য এবং প্রশাসনের দায়িত্ব কি শুধু বাসভবনে থাকা? এবং উপাচার্যের দায়িত্ব উপভোগ করা। যদি আপনি জাহাঙ্গীরনগরের অভিভাবক ও উপাচার্য হিসেবে মনে করেন আপনি ব্যর্থ হয়েছেন তাহলে এটা স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়? ১৯৯৮ সাল থেকে আমরা দেখেছি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকে তাদের ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, চাঁদাবাজি করে এবং ক্ষমতায় থেকে ধর্ষক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আয়োজনে সম্প্রতি গণধর্ষণের ঘটনায় নিপীড়নের সাথে জড়িতদের বিচার এবং ক্যাম্পাসকে মাদক, চাঁদাবাজ ও নিপীড়নমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মানববন্ধনে ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের সঞ্চালনায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো এখন ছাত্রলীগের সিট মন্ত্রীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিট মন্ত্রীদের কারণেই ক্যাম্পাসে মাদকদ্রব্য থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপকর্ম চলছে। জাহাঙ্গীরনগরে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের বেশিরভাগেরই ছাত্রত্ব নেই। তারা কীভাবে হলে অবস্থান করে? প্রশাসন কী করছে? কেন জাহাঙ্গীরনগরের সিট সংকট চালু হলো, গণরুম কালচার শুরু হলো? এর একটাই কারণ প্রশাসনের ব্যর্থতা। ক্যাম্পাসে বিশাল সাইজের একটা প্রক্টরিয়াল বডি আছে। তারা তিনটি গাড়ি ব্যবহার করে কিন্তু তাদের গাড়ি কখনো বিশমাইল এলাকায় যায় না,এমএইচ হলের দিকে যায় না। প্রশাসন যদি সক্রিয় থাকতো তাহলে আজকের এই দিন আমাদের দেখতে হতো না।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম,অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা, অধ্যাপক রাশিদুল আলম, অধ্যাপক আমির হোসেন ভূঁইয়া,সহোযোগী অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন প্রমুখ।