প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্ভিক্ষ আসছে। তিনি নাকি দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। তাহলে এত দিন ধরে যে শোনালেন বাংলাদেশ নাকি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখানে কৃষকদের কোনো সমস্যা নেই। তাহলে দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন কেন? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷
শুক্রবার(১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম কমানো, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন৷
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে লুটপাট করার কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সামনে দুর্ভিক্ষ দেখতে পাচ্ছে। এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কৃষকদের কোমরটা ভেঙে দিয়েছে। মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। কৃষকেরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। সেচ দেবে কিভাবে, ডিজেলের দাম তো বেড়ে গেছে তিন থেকে চার গুন। বিদ্যুৎ দিয়ে যে পানি তুলবেন, দাম বেড়েছে ১০ গুণ। কৃষক যাবে কোথায়।
এখন কি ধান বিক্রি করে ধানের দামটা পান? পান না এমনই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, অনেক কৃষক ধানের চাষ ছেড়ে দিচ্ছেন। অনেক প্রান্তিক কৃষক এখন রিকশা ও ভ্যান চালান। তাঁরা আর কৃষি কাজে থাকতে পারছেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেয়ালের কাছে আর মুরগি দেবেন না। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনি একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
তিনি বলেন, জনগণের পার্লামেন্টের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণের উত্তাল তরঙ্গের ঢেউয়ে আপনাকে বিদায় নিতে হবে।আমরা আবারও বলছি এখনো সময় আছে সেফ এক্সিট নিন। চলে যান। এই মানুষগুলোকে রেহাই দিন।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা একটা সমাবেশের জন্য পুলিশকে লাগিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায় মারামারি করতে। সিরাজগঞ্জে গুলি করেছেন। আমাদের ইকবাল হাসান মাহমুদ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) সাহেবের স্ত্রীকে পর্যন্ত গুলি করেছেন। সিলেটে গুলি করেছে, গোলমাল করছে। হবিগঞ্জে গুলি করেছে। সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সমাবেশের জন্য এত ভয় পান কেন?