জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে এবং জনগণের সরকার ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এজন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি এবং রাস্তায় থাকবো।
শনিবার (১এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে ‘বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে’ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সাধারণ মানুষ অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে রয়েছে। তারা না খেয়ে থাকে। আর মানুষকে বোকা বানিয়ে এবং প্রতারণা করে এই সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। তাই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে এবং জনগণের সরকার ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করবো। এজন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সরকারে বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, আজকে এক এক করে তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আজকে প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা করা হয়েছে এবং পত্রিকারটি আরেক প্রতিবেদকের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। তাই এখনও সতর্ক হন, সজাগ হন। কারণ তাদের হাত থেকে আপনারাও পার পাবেন না। একদিন না একদিন আপনাদেরকেও ধরবে।’
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আগাম নির্বাচন করে গোটা জাতিকে বোকা বানিয়ে আগের মতো নিজেদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে। কিন্তু জনগণ আর আপনাদের ফাঁদে পা দেবে না। প্রতিরোধ গড়ে তুলে আপনাদের ষড়যন্ত্র বানচাল করে দেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই কর্মসূচি আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারছে না। তারা বলছে, এই রমজানেও বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ আজকে দেশের মানুষকে যে পরিস্থিতে ফেলে দিয়েছে এবং নিয়ে গেছে- যার ফলে আমরা রমজানেও কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, রমনা পার্কে সন্ত্রাসী হামলায় ভয়ে হাঁটতে পারি না। অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার নিরাপত্তা নেই। আর আজকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। তাদেরকে আমরা নিরাপত্তা দিতে পারছি না। কারণ এই সরকার গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যু্বদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।