অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তীব্র আকারে খাদ্য সংকটের মধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেই ত্রাণের একটি প্যাকেট পেয়েছে রিনাদ নামের ১০ বছর বয়সী এক শিশুর পরিবার। আমিরাতের পাঠানো ওই প্যাকেটে কি কি আছে সেটি ক্যামেরা সামনে দেখিয়েছিল রিনাদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশের পর এটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, প্যাকেটের ভেতর খাবার দেখে বেশ খুশি হয়েছে রিনাদ। বিশেষ করে যখন দুই প্যাকেট চিনি দেখতে পায় তখন খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠে সে। কারণ গাজায় এখন এক কেজি চিনি কিনতে বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।
রিনাদের বোন ডাক্তার নুরহান আতাউল্লাহ আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে বলেছেন, “চিনি দেখে রিনাদ বেশি খুশি হয়েছিল কারণ এখন গাজায় এক কেজি চিনির দাম ২৭ ডলার। আমরা সাধারণত সেহরিতে চা খাই। কিন্তু গত এক মাস চায়ের জন্য কোনো চিনি পাইনি।”
গাজায় বর্তমানে সবকিছুর দাম পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। খাবার থেকে শুরু করে বাসস্থান এমনকি রাস্তায় থাকার জন্য তাঁবুও ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে।
যুদ্ধের মধ্যে গাজার সাধারণ মানুষ কীভাবে জীবন-যাপন করছেন সেটি ইন্সটাগ্রামে ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাচ্ছেন রিনাদের বোন।
আমিরাতের ত্রাণের যে প্যাকেটটি তারা পেয়েছে সেটিও সবার ভাগ্যে জোটে না। রিনাদের বোন জানিয়েছেন, এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে তারা এই ত্রাণ সহায়ত পেয়েছেন। যিনি প্রায় এক মাস আগে তাদের তালিকা নিয়েছিলেন।
গাজার এই বাসিন্দা আরও জানিয়েছেন, তারা যে গাজা থেকে পালিয়ে মিসরে চলে যাবেন সেই সুযোগও নেই। কারণ গাজা থেকে মিশরে যেতে বিপুল অর্থ দিতে হয়। সেই সামর্থ্য তাদের নেই। এমনকি যাদের অর্থ আছে তারাও যে পালাতে পারবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ মিশরে যেতে হলে আগে এজেন্সিতে বুক করতে হবে। যা সম্পন্ন হতে মাসের পর মাস সময় লাগতে পারে।
রিনাদের বোন জানিয়েছেন, অনেকেই গাজা থেকে পালানোর জন্য অর্থ দিয়ে এজেন্সিতে বুক করেছিলেন। কিন্তু গাজা ছাড়ার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।