আকাশ আক্রমণের সঙ্গে স্থল অভিযানও চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা টানেল নেটওয়ার্ককে সমুদ্রের পানি দিয়ে ডুবিয়ে দিতে চায় ইসরাইল। যাতে এসব টানেলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের বাইরে বের করে আনা যায়।
জানা গেছে, এই লক্ষ্যে দেশটি এরই মধ্যে বিশাল সেচ ব্যবস্থার জোগাড় করে ফেলেছে। গতকাল সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, গত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই ইসরাইল এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। এরই মধ্যে তারা সমুদ্র থেকে পানি টেনে আনার জন্য গাজা আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের পাশে অন্তত পাঁচটি পানির পাম্প স্থাপন করেছে। যেগুলো প্রতি ঘণ্টায় কয়েক হাজার ঘনমিটার পানি বয়ে আনতে পারবে। সেই হিসাবে একবার পানি টানা শুরু করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গাজার টানেলগুলো পানিতে ভরে যাবে।
তবে এখনো বিষয়টি নিশ্চিত নয় যে, ইসরাইল সব জিম্মিকে মুক্ত করার আগেই এসব পাম্প ব্যবহার করবে কিনা। কারণ এখনো হামাসের কাছে শ’খানেক ইসরাইলি জিম্মি রয়ে গেছে।
হামাস জানিয়েছে, এসব জিম্মি টানেলের ভেতরে সুরক্ষিত অবস্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, টানেলগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী করে তোলাটা ইসরাইলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি করতে গিয়ে দেশটি নতুন কোনো পদ্ধতির আশ্রয় নিতেই পারে।
তবে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসের সক্ষমতাকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে বিভিন্ন কৌশলে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন সামরিক কৌশল ও যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রকে এ পরিকল্পনার বিষয়ে জানায় ইসরাইল সরকার। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কতদূর এগিয়েছে, সেই বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন তিনি।
ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ইসরাইল এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে দেশটি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টিও তিনি একেবারে নাকচ করেননি।