গোপালগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ আগস্ট) এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম শ্যামল কান্তি বিশ্বাস। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আয়া পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস। আবেদনের পর চেয়ারম্যান ওই গৃহবধূকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তার বাড়ি যেতে বলেন। ভুক্তভোগী মাঝেমধ্যে গিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির কাজকর্ম করে দিতেন। ঘটনার দিন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করেন।
ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, চেয়ারম্যান ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। আমার স্ত্রীকে আয়া পদে আবেদন করার পর থেকে আমাদের বাড়িতে তার যাতায়াত বেড়ে যায়। আমি কাজের জন্য সব সময় বাড়িতে থাকতে পারি না। চেয়ারম্যান আমার স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা আজ গোপালগঞ্জ আদালতে এসে মামলা করেছি। আদালতে আসার পর চেয়ারম্যান ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতিকে পাঠিয়েছে মামলা করতে বাধা দিতে। আমি চেয়ারম্যানের সঠিক বিচার চাই।
ঘটনা নিয়ে চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস বলেন, আজ সকালে জানতে পেরেছি, আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে। আমরা চেয়েছিলাম স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে, কিন্তু কিছু লোক তাদের মামলা করতে উসকানি দিয়েছে। মামলায় বাধা দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে পাঠাইনি। তাকে পাঠিয়েছি মীমাংসার কথা বলার জন্য।