গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় গাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা লেগে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত এবং আরও ১৫ জন আহত হয়। শুক্রবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে আব্দুল আলীম নামে এক পুলিশ সদস্যের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্য তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিহত আব্দুল আলীম বরিশাল মেট্রোপলিটনের একজন পুলিশ সদস্য। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি গোপালগঞ্জ এসেছিলেন।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- মোংলার বেবি বেগম (৪০), হুমায়ূন কবীর(২২),আমিরুল ইসলাম(৩৪), কয়রার শরিফুল (২৪), মনিরুল ইসলাম (২৫), বাগেরহাটের স্নেহা (৩২) আলি হোসেন, রফিক মোল্লা (৩৪) গোপাগঞ্জের বরকত (৪০), শামিম (৩৬)।
জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত দিদার পরিবহনের বাসটি চট্রগ্রাম থেকে বাগেরহাটের মোংলা যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী দিদার পরিবহনের যাত্রী খুলনার কয়রা উপজেলার মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুমিল্লা থেকে তাদের গাড়িতে ওঠার কথা ছিল, কিন্তু গাড়ি কুমিল্লায় এসে পৌঁছায় রাত পৌনে ১টায়। এরপর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে চালক খুব দ্রুত গতিতে গাড়ি চালচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চট্রগ্রাম থেকে বাগেরহাটের মোংলাগামী দিদার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চন্দ্রদিঘরিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আর ১৫ জন।
ওসি জানান, আহত ১০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই বাসের যাত্রী ছিলেন।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আসা রোগীদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।