আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হঠাৎই নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গ্রামীণফোনের। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেবল কাটা পড়ায় কয়েক ঘণ্টা গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক পাননি গ্রাহকেরা। তাঁদের তিনটি কেব্ল কাটা পড়েছিল। এর মধ্যে দুটি কেব্ল ঠিক করা হয়েছে। বাকি একটির কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে সমস্যা শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর নেটওয়ার্ক সচল হলে অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করেন গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের হেড অব নেটওয়ার্ক সার্ভিসেস এ কে এম আলামিন জানান, তাঁদের তিনটি কেব্লের একটি এলেঙ্গা টু জামালপুর ফোর লেনের কাজ করতে গিয়ে, আরেকটি ঢাকা টু গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের কাজে এবং তৃতীয়টি টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জে রেলওয়ের কাজ করতে গিয়ে কাটা পড়েছে। তিনটি কেব্লের মধ্যে দুটি রিস্টোর করা হয়েছে। রেলওয়েরটির কাজ চলছে।
তিনি জানান, বেলা পৌনে দুইটার দিকে নেটওয়ার্ক ফিরিয়ে আনার (রিস্টোর) পর প্রথমে ইন্টারনেট সেবা চালু হয় এবং পরে ভয়েস সেবা সচল হয়।
দেশের শীর্ষ এ টেলিকম অপারেটরের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব বলেন, এ ধরনের সমস্যা সমাধানে অন্তত আট ঘণ্টা সময় লেগে যায়। কিন্তু তাঁরা দুই ঘণ্টার মধ্যে সব নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক করতে পেরেছেন। তাঁদের ৫০০ কর্মী এখানে কাজ করেছেন।
এদিকে নেটওয়ার্ক সমস্যার বিষয়ে গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল বিটিআরসি। গ্রামীণফোন কেব্ল কাটা পড়ার কথা বিটিআরসিকে জানিয়েছে।
ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়েছে কি না, তা না জেনে বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া তাঁরা বলেছেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রাহকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এই সমস্যার কারণে কতসংখ্যক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন, সে সংখ্যা তাঁরা এখনই জানাতে পারবেন না।
কোম্পানিটির হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার বলেন, নেটওয়ার্ক সেবার এসব কেব্ল একটি জাতীয় সম্পদ। এর সঙ্গে দেশের আট কোটি মানুষের স্বার্থ জড়িত। যখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তা অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
তিনি বলেন, প্রত্যেকের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। যাঁরা টাকা দিয়ে সেবা কেনেন, তাঁরা যেন কোনো ক্ষতির মুখে না পড়েন।