ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে ঝড়ে অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় সোমবার দুপুর থেকে পটুয়াখালী জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সোমবার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন রাজ্জাক জানান, সকালে জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণে বহু বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে।
এছাড়া বেশ কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে এবং ৭০৩টি সাইক্লোন সেন্টার খোলা হয়েছে।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সুউচ্চ ভবনগুলোকে জনগণের আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এছাড়া সরকারের কাছ থেকে ২৫ লাখ নগদ অর্থ এবং ২০ হাজার প্যাটেক শুকনো খাবার সরকারের কাছে চাহিদা পত্র দাখিল করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিতে ৭২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
সিত্রাং-এর প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে পটুয়াখালীতে। সোমবার রাত থেকে ধমকা হাওয়াসহ মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে বা সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি। এছাড়াও স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর সময় জেলায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।