আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারারাত জেগে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা মনিটরিং করেছেন এবং মানুষের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অতি দ্রুতই তিনি পরিদর্শনে যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন।
সোমবার (২৭ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণী সংগ্রহ করছে। কোথায় কোথায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দলের বিভাগীয় টিম সার্বিক খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তারাও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে অনেক বেশি, বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, বৈদ্যুতিক লাইন ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের পাশে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দুর্যোগে–মানবিক আবেদনে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। তাদের কাজই হচ্ছে ফটোসেশন করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোজার মাসেও আমরা সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছি আর তারা ইফতার পার্টি করেছে। বিএনপির সঙ্গে আমাদের নীতিগতভাবেই অনেক পার্থক্য আছে। নানাবিধ বিষয়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে আমার জানা নেই।