বঙ্গোপসাগরে এ মাসের শেষের দিকে একটি সুপার সাইক্লোন সৃষ্টি হতে যাচ্ছে বলেই তথ্য দিয়েছিলো মার্কিন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস)। সংস্থাটির পূর্বাভাস মতে,’সিত্রাং’ নামের এ ঘূর্ণিঝড়টি ২২ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে এবং লন্ডভন্ড করে দিতে পারে উপকূল।
গত বৃহস্পতিবার দেয়া পূর্বাভাসে জিএফএস জানায়, সুপার সাইক্লোন থেকে এটি দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরইমধ্যে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) স্থলভাগের কোন কোন এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
আজ শুক্রবার দেয়া পূর্বাভাসে অনুযায়ী, আন্দামান-নিকোবার দীপপুঞ্জ থেকে পশ্চিমদিকে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে ঘূর্ণিঝড়টি অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
এটি যদি আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ থেকে উত্তর দিকে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় এগিয়ে যায় এবং স্থলভাবে আঘাত হানে তবে সেটি অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই আঘাত হানবে।
ঘূর্ণিঝড়টি কতটা শক্তিশালী হয়ে আঘাত হানতে পারে তা নির্ভর করবে এটি বাংলাদেশ নাকি ভারতের উপকূলে আঘাত করছে তার ওপর।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ‘সিত্রাং’ নামের এ ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে সর্বশেষ পূর্বাভাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (যুক্তরাষ্ট্রের দুটি, কানাডা, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১টি করে) ভিন্ন ভিন্ন ৫টি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলোর সবাই একমত হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে সেটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আগামী ২২ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি কোনো উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক এ গবেষক জানান, মডেলগুলোর পূর্বাভাস নিয়মিত পরিবর্তন হতেই থাকবে যতক্ষণ না ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি না হচ্ছে। এমনকি এটি স্থলভাগে আঘাত করার ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্তও আঘাত হানার স্থান ও শক্তির ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে আগে থেকে নির্দিষ্ট করে কোনো কিছু বলা খুবই কঠিন।