ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান৷
মঙ্গলবার(২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এমনটা জানান।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ হাজার মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। মোট ৯ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়ে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য টিন ও নগদ অর্থ দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল (বুধবার) থেকে এ সহায়তা দেওয়া শুরু হবে। প্রকৃত ক্ষতির চিত্র জানতে আরও ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে দুইজনকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এনামুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের সুদহীন ঋণ দেওয়া হবে। ডিসেম্বরে দেশে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা তা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রায় ৭ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
‘ঘূর্ণিঝড় শেষে মধ্যরাত থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। সকালের মধ্যে সবাই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন’,বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এ পর্যন্ত ৩৩ নিহতের খবর পাওয়া গেছে।