চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয় বলে জানা গেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হন তিনজন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নিহত হয়েছেন মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) এবং গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছেলে ইমরান বেপারী (১৮) ও জহির কবিরাজ (৩৫)। তাদের উভয়কে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত বাকি তিনজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিগমা রশিদ জানান, গুরুতর আহত মোবারক হোসেনকে একেবারেই শেষপর্যায়ে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মারা যান। বাকি আহত দুইজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল বাহাদুরপুর আমার এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এবং মেঘনা নদীর পশ্চিমপাড়ে। ওখানে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী রাজ্জাক প্রধান ও কালু বেপারীর মধ্যে সমস্যা ছিল। সেটিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
মোবারক হোসেন বাবুকে হাসপাতালে দেখতে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজান গ্রুপের সমর্থকরা আমার গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। মিজানের পরিবার রাজাকার। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুদীপ্ত রায় বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে। তবে এ ঘটনায় মুসা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।