পঞ্চগড় সদরে চাকরির জন্য দেয়া টাকা ফেরতসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতারকের বাড়িতে লাশ রেখে অনশন করছে এলাকাবাসী। তবে অভিযুক্তসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া দাখিল মাদরাসার তৎকালীন সভাপতি হোটেল ব্যবসায়ী জুলফিকার আলম প্রধান দুই বছর আগে মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে জাকিরুল ইসলামের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধানের কাছে থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতির সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয় জাকিরুলের পরিবার। কিন্তু তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন। ২৫ দিন আগে জাকিরুলের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধান আবারও জুলফিকারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তাকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বাড়ি গিয়েই তিনি স্ট্রোক করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত ৭ আগস্ট দবিরুল আবারও স্ট্রোক করলে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দবিরুলের লাশ জুলফিকারের বাড়িতে রেখে অনশন শুরু করেন।
এই বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের বাসায় গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, লাশ রেখে অনশনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গভীর রাতে উভয়পক্ষ বসে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেয়া সাপেক্ষে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।