চীনের সঙ্গে ৩৪টি বিনিয়োগ চুক্তি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র সৌদি আরব। অর্থের পরিমাপে যা ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি। আজ বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সৌদি সফরের দ্বিতীয় দিনে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, সৌদি আরবের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, গ্রিন হাইড্রোজেন, সৌর বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি, যোগাযোগ, পরিবহন, আবাসন, চিকিৎসা, পর্যটনসহ আরও বেশ কয়েকটি খাতে অর্থ বিনিয়োগ করবে চীন।
যদিও চীন-সৌদির এই অর্থনৈতিক সমঝোতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমানে তিন দিনের সরকারি সফরে বুধবার সৌদিতে অবস্থান করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর এটি জিনপিংয়ের তৃতীয় বিদেশ সফর। সৌদিতে এটি তার দ্বিতীয় সফর।
চলতি সফরে সৌদির বাদশাহ সালমান এবং দেশটির যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ-বৈঠকের সূচি আছে জিনপিংয়ের। তারপর মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলভুক্ত বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি
সৌদি সরকারের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ বিন আবদুল আজিজ আল ফালাহ বার্তাসংস্থা এসপিএকে বলেন, ‘সরকার সৌদির অর্থনীতি পুনর্গঠন ও সংস্কার করতে ভিশন ২০৩০ প্রকল্প নিয়েছে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য জ্বালানি তেলের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতকে আরও উৎপাদনশীল ও শক্তিশালী করা।’
দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর ক্ষেত্র রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগ, আবাসন, পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ প্রচুর খাত আমাদের আছে- যেগুলোতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। এসব খাতে আমরা অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও চাইছি।
এদিকে, সৌদি-চীন বিনিয়োগ চুক্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের দীর্ঘকালীন মিত্র দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের এত বৃহৎ অর্থনৈতিক সমঝোতায় অসন্তোষ জানিয়েছে দেশটির সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি- বিশ্বজুড়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে চীন অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে উঠেছে।’