পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যে দেশই হোক বা যে চেষ্টাই করুক, বাংলাদেশকে কারও একক দলে টানা সম্ভব নয়। চীন থেকে দূরে রাখতেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য মাতব্বরি।অনেকেই তাদের এই সুযোগ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশ কোনদিনই কারও লেজুড় হবে না। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ও দেশটির অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন। যদিও এরপর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন ভিসা নীতি গ্রহণকে অনৈতিক বলে মনে করছে ভারত।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ভারত যা বলেছে তা উপমহাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জুলাই পর্যন্ত ৫৭ দেশে নির্বাচন হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২ দেশে নির্বাচন হবে। কোথাও মাতব্বরি হয় নি। কিন্তু এখানে করছে কারণ আমরা সুযোগ দিচ্ছি বলে। শেখ হাসিনা যদি না থাকে স্টেবিলি বন্ধ হয় এলাকায় দুর্যোগ নেমে আসবে। ভারত যা বলেছে শেখ হাসিনা দুর্বল করলে ভারত জুড়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিবে। আমেরিকাও অসুবিধায় পড়বে। আমেরিকা নিজের স্বার্থে শেখ হাসিনাকে সাপোর্ট দেয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের তাহলে কেন বাংলাদেশের প্রতি এত আগ্রহ– এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মূল উদ্দেশ্য একটি ভূ-রাজনৈতিক বলয় তৈরি করা। তাদের একটি ভূরাজনৈতিক পলিসি আছে চায়নাকে আটকানো। তারা মনে করছে বাংলাদেশকে যদি আমরা দলে আনতে পারি ইলেকশনের আগে তাহলে আমাদের লাভ। তাদের উদ্দেশ্য বিএনপি আনা নয়। তাদের উদ্দেশ্য প্রেসার দিলে বাংলাদেশ কোন একটা চুক্তিতে সাক্ষর করবে। আর চায়নাকে বাদ দেবে।
মন্ত্রী বলেন, যে দেশই হোক বা যতো চেষ্টাই করুক বাংলাদেশকে কোন একক দলে টানা সম্ভব নয়।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব রাখবো। কোন দেশের লেজুড় হবো না। আমেরিকা বন্ধু ভারত বন্ধু ভারত উন্নয়ন সহযোগী। চীন অনেক সময় আমাদের ভেটো দিয়েছে। এখন তারা উন্নয়ন সহযোগিতা। আমরা টাকা নিয়ে আসে না ইউএস শুধু উপদেশ নিয়ে আসে। তারা কিছু অস্ত্র বিক্রি করতে চায়। আমরা কিনতে চাই না।
এদিকে বৃহস্পতিবার চীনের প্রধানমন্ত্রী এবং আগামী মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে।