এস এম সাইফুল ইসলাম
চুয়াডাঙ্গায় শেখ মুজিব ও হাসিনার ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এছাড়া বুলডোজার দিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সদর উপজেলা চত্বর ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মূল ফটকসহ শেখ মুজিবের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে শেখ মুজিব ও ফজিলাতুন্নেছার ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়। পরে হাতুড়ি, কুড়াল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে অবশিষ্ট অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর বুলডোজার দিয়ে পুরো স্থাপনা ধ্বংস করা হয়।
পরে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। ভবনের ভেতরে ঢুকে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার ছবি ভাঙচুর করা হয়। এরপর সদর উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘জনে জনে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’সহ বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সদস্যসচিব সাফফাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচারের প্রতীক নির্মূল করতে এসেছি। ছাত্র-জনতা বুক দিয়ে এগুলো তুলে ফেলেছে, ভবিষ্যতেও প্রস্তুত থাকবে।’
জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক বলেন, ‘দেশব্যাপী ফ্যাসিবাদী চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করতে আমরা একত্র হয়েছি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।’
ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।