ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সম্প্রতি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের এ কমিটি ঘিরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান নেতাকর্মীরা। নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও ঝাড়ুমিছিল কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ছাত্রলীগের ৩ শতাধিক নেতা-কর্মী বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
এ সময় তারা অভিযোগ করেন, গেলো ৩ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের ঘোষণা করা কমিটিতে হরিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেয়েছেন জামায়াত-বিএনপির পরিবারের সন্তান সাদেকুল ইসলাম। এছাড়াও হরিপুর থানায় রেকর্ডভুক্ত রাষ্ট্রদোহী মামলার আসামি শামীম রেজাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে রাজি নন তারা।
এ বিষয়ে ৫নং হরিপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল হাসান রাজবীর বলেন, মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার এই কমিটি দিয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই হরিপুরের ছাত্রলীগ নেতারা ফুসে উঠেছেন। কমিটি বাতিলের দাবিতে সপ্তাহজুড়ে উপজেলাটিতে বিক্ষোভ, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। কমিটি বাতিল করে নতুনভাবে কমিটি ঘোষণা না করলেও আগামীতে আরও কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুশিয়ারি দেন।
মাঠে কাজ করা ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও রাষ্ট্রোদোহের মামলার আসামিদের। এই কমিটি হরিপুর ছাত্রলীগের রাজনীতিকে বিপদের দিকে ঠেলে দিবে বলে জানান হরিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। দ্রুত এ কমিটি বাতিলের দাবিও জানান তিনি।
কর্মসূচিতে হরিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল হাসান রাজবীরের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মহিদুর সরকার বাপ্পি, আরিফুর রহমান প্রধান, মো. ওমর, ওমর ফারুক লিটন, সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান, রাশেদুজ্জামান রনি, হরিপুর সদর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, নিয়ম মেনেই যাচাই-বাছাই করে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটি বাতিলের সুযোগ নেই। তবে হরিপুরে এক শ্রেণির লোক রয়েছে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকেও মানে না, আমাদের মানবে কিভাবে?
তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে নৌকা মার্কার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া প্রার্থীদের পরাজিত করতে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল। তারাই আজ এসব বিক্ষোভ ও অভিযোগ তুলছে না। আমরা এগুলোকে পাত্তা দিচ্ছি না।